ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং ও ব্যবসায়িক প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ফেসবুক পেজ। তবে শুধু পেজ তৈরি করলেই চলবে না; পেজের কনটেন্ট কতজন ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাচ্ছে, তা-ই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান অ্যালগরিদম ও বিজ্ঞাপন প্রতিযোগিতার ভিড়ে ফেসবুকে রিচ ধরে রাখা এবং বাড়ানো বেশ কঠিন। তবে কিছু নির্দিষ্ট কৌশল অনুসরণ করলে এই বাধা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
ফেসবুক রিচ হলো এমন একটি মেট্রিক, যা নির্দেশ করে কোনো পোস্ট বা পেজ কতজন ব্যবহারকারী দেখেছেন। সাধারণত নির্দিষ্ট একটি সময়ের (যেমন ২৮ দিন) মধ্যে এই পরিসংখ্যান পরিমাপ করা হয়। ফেসবুক রিচ মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত—পোস্ট রিচ ও পেজ রিচ।
পোস্ট রিচের মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি কনটেন্ট কতজন ব্যবহারকারী দেখেছেন তা বোঝা যায়, আর পেজ রিচের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেজের সব কনটেন্টের মোট দর্শকসংখ্যা নির্ণয় করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফেসবুক পেজের রিচ বাড়াতে কিছু কার্যকর কৌশল অবলম্বন করা জরুরি।
প্রথমত, কনটেন্ট অপটিমাইজেশন প্রয়োজন। আকর্ষণীয় ক্যাপশন, সঠিক ফরম্যাট এবং ভিডিও ও লাইভ কনটেন্টের ব্যবহার রিচ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ধারাবাহিকভাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে পোস্ট করা উচিত। এতে ফেসবুকের অ্যালগরিদম পেজকে বেশি প্রাধান্য দেয়।
তৃতীয়ত, সঠিক সময়ে কনটেন্ট প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ। পেজের ইনসাইটস টুল ব্যবহার করে কখন ব্যবহারকারীরা বেশি সক্রিয় থাকেন, তা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
চতুর্থত, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব। ফেসবুক অ্যাডস ব্যবহারে অর্গানিক রিচের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সহজ হয়।
পঞ্চমত, গ্রুপ ও থার্ড পার্টি এনগেজমেন্টের গুরুত্বও কম নয়। শুধু নিজের পেজে নয়, বরং বড় গ্রুপ ও কমিউনিটিতে কনটেন্ট শেয়ার করলে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।
ফেসবুক পেজের রিচ পরিমাপের জন্য মেটা বিজনেস স্যুটের ইনসাইটস ট্যাব ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ট্যাবে পোস্টের রিচ, এনগেজমেন্টসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়, যা বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের কনটেন্ট পরিকল্পনা আরও ফলপ্রসূ করা সম্ভব।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.