হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার ফেসবুক গ্রুপ নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছে—তা-ও কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই। গ্রুপগুলো হঠাৎ অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় প্রশাসক ও সদস্যদের মধ্যে শুরু হয়েছে চরম উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি। অভিযোগ উঠেছে, এসব গ্রুপ ‘নগ্নতা’ বা ‘সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট কনটেন্ট’ প্রচারের দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছে। তবে মেটা বলছে, এটি তাদের একটি কারিগরি ত্রুটির ফল, এবং তারা বিষয়টি সমাধানে কাজ করছে।
মেটার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মূলত কারিগরি সমস্যার কারণে পোষা প্রাণীর যত্ন, বাবা–মায়ের সহায়তা, অনলাইন শপিং ছাড়ের তথ্য, গেমিং, পোকেমন, মেকানিক্যাল কি–বোর্ড বা ইন্টেরিয়র ডিজাইন–বিষয়ক গ্রুপগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেটার যোগাযোগ বিভাগের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেন, “আমরা একটি কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে অবগত হয়েছি, যা কিছু ফেসবুক গ্রুপকে প্রভাবিত করেছে। বর্তমানে আমরা সমস্যার সমাধানে কাজ করছি।” তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করেননি যে এই ত্রুটি ফেসবুকের স্বয়ংক্রিয় মডারেশন সিস্টেমের সঙ্গে জড়িত কি না কিংবা কীভাবে এই ত্রুটি তৈরি হলো।
প্রভাবিত গ্রুপগুলোর অনেক অ্যাডমিন Reddit-এ জানিয়েছেন, তাদের একাধিক গ্রুপ হঠাৎ একযোগে নিষিদ্ধ হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, গ্রুপে আপত্তিকর কোনো কনটেন্ট না থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদ বা বিপজ্জনক সংগঠনের প্রচারণা’র অভিযোগ এসেছে। অন্যদিকে, কিছু ব্যবহারকারী জানিয়েছেন—তারা ‘Meta Verified’ সাবস্ক্রিপশন নেয়ার পর প্রায়োরিটি কাস্টমার সাপোর্ট পেয়েছেন এবং তাদের কিছু গ্রুপ পুনরায় চালু হয়েছে।
এই হঠাৎ নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক গ্রুপভিত্তিক অনলাইন ব্যবসা ও কমিউনিটি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেকেই এর প্রতিবাদে অনলাইন পিটিশনে অংশ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে একটি পিটিশনে ১২ হাজারের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে গ্রুপগুলোর পুনরুদ্ধার এবং স্বচ্ছ ব্যাখ্যার দাবি জানানো হয়েছে।
এখন দেখার বিষয়—মেটা কবে নাগাদ এই ত্রুটির সমাধান করতে পারে এবং গ্রুপগুলো তাদের কার্যক্রমে ফিরতে পারে কি না।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.