আপনার স্মার্টফোন কি নিরাপদ? প্রতিনিয়ত হ্যাকাররা ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যারসহ বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে স্মার্টফোন হ্যাক করার চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাইবার হামলার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তবে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললেই আপনি নিজের ফোনকে নিরাপদ রাখতে পারেন! চলুন জেনে নিই স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম—
আপনি কি জানেন, ফোন বন্ধ না করেও হ্যাকাররা আপনার ডিভাইসে প্রবেশ করতে পারে? ‘জিরো-ক্লিক এক্সপ্লয়েট’ নামে এক ধরনের হামলার মাধ্যমে কোনো লিঙ্কে ক্লিক না করেও হ্যাকাররা স্মার্টফোন হ্যাক করতে পারে!
তবে সমাধান সহজ—সপ্তাহে অন্তত একবার ফোন বন্ধ করে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন, তারপর পুনরায় চালু করুন। এটি অনেক সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। একই সঙ্গে নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ব্লুটুথ চালু রাখা কি বিপজ্জনক হতে পারে? হ্যাঁ! জনবহুল এলাকায় হ্যাকাররা ব্লুটুথের মাধ্যমে আপনার ফোনে প্রবেশ করতে পারে।
কী করবেন?
ক্যাফে, বিমানবন্দর বা হোটেলের উন্মুক্ত ইউএসবি চার্জিং পোর্টে ফোন চার্জ দেন? সাবধান!
হ্যাকাররা ‘জুস জ্যাকিং’ নামের কৌশল ব্যবহার করে এসব পোর্টের মাধ্যমে আপনার ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করাতে পারে বা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে!
কী করবেন?
"ফ্রি ওয়াই-ফাই" শব্দটা শুনলেই কি কান খাড়া হয়ে যায়? সাবধান! এটি হতে পারে একটি ফাঁদ!
অনেক সময় হ্যাকাররা ভুয়া ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক তৈরি করে, যেখানে সংযুক্ত হলে আপনার ফোনের সমস্ত তথ্য তাদের হাতে চলে যেতে পারে!
নিরাপদ থাকার উপায়:
আপনার ফোন কি সবসময় শুনছে? হয়তো! হ্যাকাররা ‘হট-মাইকিং’ কৌশল ব্যবহার করে গোপনে আপনার ফোনের মাইক্রোফোন চালু করতে পারে এবং আপনার কথোপকথন শুনতে পারে!
নিরাপদ থাকার উপায়:
এই ৫টি সহজ অভ্যাস গড়ে তুললেই আপনার স্মার্টফোন সুরক্ষিত থাকবে এবং হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার আশঙ্কা কমবে। সাইবার নিরাপত্তা এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং এটি একটি জরুরি প্রয়োজন!
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.