স্মার্টফোন এখন আর শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়—এটি আমাদের ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। কিন্তু যেকোনো সময় এই স্মার্টফোনই হয়ে উঠতে পারে তথ্য চুরি বা নজরদারির সহজ লক্ষ্য। তাই স্মার্টফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিচের পাঁচটি পদ্ধতি অবশ্যই অনুসরণ করা উচিত।
ফোনে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, মেসেজ, ছবি ও ইমেইল তথ্য চুরি বা নজরদারির সুযোগ তৈরি করে। তাই নিয়মিত এসব মুছে ফেলার অভ্যাস গড়ুন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরাসরি ফোনে না রেখে এনক্রিপ্টেড ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা সবচেয়ে ভালো। এছাড়া, ব্রাউজারের হিস্টোরি, কুকিজ এবং ক্যাশ ফাইল পরিষ্কার রাখা এবং সংবেদনশীল তথ্য খুঁজতে ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করাও নিরাপত্তার জন্য সহায়ক।
যেমন ভ্রমণের সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফেলে রাখি, তেমনি ফোনে থাকা অপ্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন আউট থাকা উচিত। ক্লাউড ব্যাকআপ বন্ধ রাখা, প্রয়োজনহীন ফাইল ডিলিট করা এবং ব্রাউজার এক্সটেনশন বা অটো-ডাউনলোড অপশন নিষ্ক্রিয় করাও আপনার তথ্যকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে।
সাধারণ মেসেজিং অ্যাপে এনক্রিপশন থাকে না, তাই গুরুত্বপূর্ণ বার্তার জন্য সিগনাল বা এলিমেন্টের মতো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন অ্যাপ ব্যবহার করুন। এছাড়া প্রোটনমেইল বা প্রোটন ড্রাইভের মতো এনক্রিপ্টেড ইমেইল ও ফাইল শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আরও নিরাপদ থাকা যায়।
অ্যাপল ও গুগল উভয়েই ক্লাউডে থাকা ডেটার জন্য উন্নত এনক্রিপশন সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন, অ্যাপলের ‘অ্যাডভান্সড ডেটা প্রটেকশন’ চালু করলে আইক্লাউড ডেটার নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ ব্যবহারকারীর হাতে থাকে। তেমনিভাবে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ও গুগল ওয়ান ব্যাকআপেও ক্লায়েন্ট-সাইড এনক্রিপশন সুবিধা রয়েছে, যা ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
ফোনে থাকা তথ্য অন্য কেউ যাতে দেখতে না পারে, সে জন্য ব্যবহার করুন প্রাইভেসি স্ক্রিন প্রটেক্টর। এটি এমনভাবে ডিজাইন করা, যাতে পাশ থেকে ফোনের স্ক্রিনে কিছুই দেখা না যায়। পাশাপাশি পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন হ্যাকাররা এখান থেকেই সহজে ডেটা চুরি করতে পারে।
আপনার স্মার্টফোন শুধু প্রযুক্তি নয় এটি আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের ভাণ্ডার। তাই নিরাপত্তার ব্যাপারে কখনোই অবহেলা করবেন না।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.