গরম বাড়ছে, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এসির ব্যবহার—বাসা, অফিস, কিংবা শপিং মল, সব জায়গায়ই চলছে এসি। কিন্তু দিন শেষে যখন বিদ্যুৎ বিল দেখে চোখ কপালে ওঠে, তখন মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে চিন্তার কিছু নেই! কিছু সহজ কৌশল মেনে চললেই আপনি এসি চালিয়ে গরম থেকেও বাঁচতে পারবেন, আর বিদ্যুৎ বিলও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
অনেকে মনে করেন, এসি’র তাপমাত্রা যত কম, ঘর তত ঠান্ডা হবে। কথাটা ঠিক, তবে তাতে বিদ্যুৎ খরচও বেড়ে যায়। কারণ, কম তাপমাত্রায় কম্প্রেসারকে বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসির তাপমাত্রা প্রতি ১ ডিগ্রি বাড়ালে প্রায় ৬% বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। তাই এসি ২৩–২৪ ডিগ্রির মধ্যে সেট করাই সবচেয়ে উপযোগী—আরামদায়কও, সাশ্রয়ীও।
এসি চালানোর সময় ঘরের দরজা-জানালা ঠিকমতো বন্ধ রাখা খুব জরুরি। বাইরের গরম হাওয়া ঘরে ঢুকলে এসিকে বেশি পরিশ্রম করতে হয় ঘর ঠান্ডা রাখতে, ফলে বিদ্যুৎ খরচও বাড়ে। তাই এসি অন থাকুক বা অফ, সবসময় ঘর সিল করে রাখুন।
সারাদিন এসি চালানোর পর রাতে, বিশেষ করে ভোরের দিকে, বাইরের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়। তখন এসি চালিয়ে রাখার প্রয়োজন পড়ে না। তাই ঘুমের মধ্যে টাইমার সেট করে মাঝরাতে এসি বন্ধ করে দিতে পারেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচবে অনেকটাই।
এসির সঙ্গে ফ্যান চালু রাখুন
এসি চালানোর সময় ঘরের সিলিং ফ্যান অন রাখলে ঠান্ডা হাওয়া ঘরের কোণায় কোণায় পৌঁছায়। এতে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়, ফলে এসিকেও বেশি সময় কাজ করতে হয় না। অল্প সময়ে ঠান্ডা হলে বিদ্যুৎ খরচও কমে আসে।
নির্দিষ্ট সময় পরপর এসি সার্ভিস করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফিল্টারে ধুলো জমে গেলে এসি ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেড়ে যায়। তাই অন্তত বছরে একবার বা দুবার পেশাদার টেকনিশিয়ান দিয়ে এসি সার্ভিস করিয়ে নিন।
সঠিকভাবে এসি ব্যবহার করলে গরমে আরামও পাবেন, আবার বিদ্যুৎ বিল নিয়েও বেশি চিন্তা করতে হবে না। তাই এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করুন আর গরমে আরাম ও সাশ্রয়—দুই-ই উপভোগ করুন। এসি কেনার আগে আপনার রুমের জন্য কত টনের এসি দরকার, সেটা জানতে Star Tech-এর সহজ BTU ক্যালকুলেটর ব্যবহার করুন।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.