১৯ জুন ২০২৫
৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাকরি কেড়ে নিচ্ছে এআই, তরুণদের শেখার পরামর্শ নাদেলার

calendar_month ১৩ জুন ২০২৫ ১১:১৩:১৪ person অনলাইন ডেস্ক
চাকরি কেড়ে নিচ্ছে এআই, তরুণদের শেখার পরামর্শ নাদেলার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে বদলে যাচ্ছে কর্মজগতের চিত্র, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে। কোডিং থেকে শুরু করে জটিল বিশ্লেষণ—অনেক কাজই এখন স্বয়ংক্রিয় হয়ে উঠছে, যা তরুণ পেশাজীবীদের মনে তৈরি করছে অনিশ্চয়তা। তবে এই প্রযুক্তিকে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং সহযাত্রী হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা।

এক সাম্প্রতিক পডকাস্টে নাদেলা বলেন, এআই যতই অগ্রসর হোক, মৌলিক দক্ষতা ও বিশ্লেষণী চিন্তার প্রয়োজন কখনোই ফুরোবে না। তাঁর পরামর্শ, যারা এখন প্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাদের উচিত এসব মৌলিক জ্ঞানকে মজবুত করা। তিনি বলেন, “আমরা সবাই একদিন সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট হয়ে উঠব।” ভবিষ্যতের প্রযুক্তিপণ্য তৈরিতে মানুষের ভূমিকা হবে কাঠামো ও দিকনির্দেশনার নকশা তৈরি করা, আর সেই নকশা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এআই।

চাকরির বাজারে এআইয়ের প্রভাবকে স্বীকার করে নাদেলা জানান, মাইক্রোসফটের নিজস্ব তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির কোডিংয়ের প্রায় ২০-৩০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই এআইয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। তবুও, তিনি স্পষ্ট করে বলেন—এতে মানুষের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। “প্রযুক্তি কখনো একা সিদ্ধান্ত নেয় না,” বলেন নাদেলা। “চূড়ান্ত বাস্তবায়নের পেছনে থাকে মানুষের চিন্তা ও নকশা।”

কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মাইক্রোসফট এআই প্রশিক্ষণের পর নিজ কর্মীদের ছাঁটাই করেছে। যদিও এই বিষয়ে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি, তবে তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, এআই এখানে থাকতে এসেছে এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।

তরুণদের উদ্দেশে নাদেলা বলেন, প্রযুক্তির পরিবর্তনকে ভয় নয়, বরং গ্রহণ করা উচিত। তাঁর মতে, সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণী চিন্তা ও অভিযোজন ক্ষমতা—এই তিনটি গুণই ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে মূল্যবান হয়ে উঠবে। এআইকে হুমকি হিসেবে দেখলে তা উদ্বেগ বাড়াবে, তবে সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে গ্রহণ করলে তা দক্ষতা বাড়ানো ও কাজের মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে।

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন