অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে বহুদিন ধরেই চালু আছে ভূমিকম্প শনাক্তকরণ ও আগাম সতর্কবার্তার প্রযুক্তি। এবার সেই সুবিধা আসছে ওয়্যার ওএস–চালিত স্মার্ট ঘড়িতে। ২০২৫ সালের জুন মাসে গুগলের প্লে সার্ভিসেসের সংস্করণ ২৫.২১–এর রিলিজ নোটে এই নতুন ফিচার যুক্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
গুগল ২০২০ সালে প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভূমিকম্প সতর্ককরণ প্রযুক্তি চালু করে। স্মার্টফোনের সেন্সর ব্যবহার করে মাটির কম্পন শনাক্ত করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে আশপাশের ব্যবহারকারীদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। এতে আগাম সতর্কতার মাধ্যমে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। শুরুর দিকে এটি কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকলেও ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়। ডেটা-চালিত অ্যালার্ট সিস্টেম হিসেবে এটি অ্যান্ড্রয়েডের অন্যতম কার্যকর নিরাপত্তা ফিচারে পরিণত হয়েছে।
সর্বশেষ গুগল প্লে সার্ভিসেস রিলিজ নোটে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পজনিত ঝাঁকুনি আশঙ্কাজনক মাত্রায় পৌঁছালে ওয়্যার ওএস স্মার্ট ঘড়িতে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। এই তথ্যটি প্রথম জানায় অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি। তবে গুগল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফিচার চালুর ঘোষণা দেয়নি। অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, গুগল অনেক সময় রিলিজ নোটে আগাম ফিচারের উল্লেখ করলেও তা পরবর্তী আপডেটে কার্যকর করে। ধারণা করা হচ্ছে, বছরের শেষ দিকে ওয়্যার ওএস ৬-এর সঙ্গে এই ফিচারটি উন্মুক্ত হতে পারে।
অ্যান্ড্রয়েডে ভূমিকম্প সতর্কতা দুটি ধাপে কাজ করে। হালকা কম্পনের সময় ‘Be Aware Alert’ নামে একটি নরম বার্তা আসে, যা ডু নট ডিস্টার্ব বা সাইলেন্ট মোডে কার্যকর হয় না। আর মাঝারি বা তীব্র কম্পনের সময় ‘Take Action Alert’ নামে উচ্চ শব্দে অ্যালার্ম, স্ক্রিনে লাল সতর্ক বার্তা এবং জরুরি নির্দেশনা প্রদর্শিত হয়। ওয়্যার ওএস সংস্করণেও এ ধরনের সতর্কতা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি এতে ভূমিকম্পের মাত্রা ও উপকেন্দ্র থেকে ব্যবহারকারীর দূরত্ব সম্পর্কিত তথ্যও দেখানো হতে পারে।
এই উদ্যোগ স্মার্ট ঘড়িকে আরও কার্যকর জীবন রক্ষা প্রযুক্তিতে পরিণত করতে পারে, বিশেষ করে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মানুষের জন্য।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.