১৯ জুন ২০২৫
৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অন্ধকারে স্মার্টফোন ও কম্পিউটার ব্যবহারে চোখের ক্ষতি কতটা?

calendar_month ০৮ মার্চ ২০২৫ ১৯:২৪:০৪ person অনলাইন ডেস্ক
অন্ধকারে স্মার্টফোন ও কম্পিউটার ব্যবহারে চোখের ক্ষতি কতটা?

অফিসের কাজ, পড়াশোনা বা নিছক বিনোদনের জন্য অনেকেই দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা স্মার্টফোন স্ক্রিনের সামনে কাটান। এর ফলে চোখ ক্লান্ত হয়ে আসা, মাথা ব্যথা করা কিংবা দৃষ্টিতে অস্বস্তি অনুভব করা স্বাভাবিক ঘটনা। এ সমস্যার কারণ হতে পারে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ বা ‘ডিজিটাল আই স্ট্রেইন’।

আমেরিকান অপটোমেট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, যারা নিয়মিত ও দীর্ঘসময় ল্যাপটপ, ট্যাবলেট বা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব আইওয়া হেলথ কেয়ারের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অফিসে অপর্যাপ্ত আলো, স্ক্রিনের তীব্র আলো এবং ভুলভাবে বসার কারণে চোখের ওপর চাপ বাড়ে, যা শুষ্ক চোখের সমস্যা তৈরি করতে পারে। সাধারণত আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় যতবার চোখের পলক ফেলি, স্ক্রিনের সামনে থাকলে তার হার প্রায় ৬৬% কমে যায়।

ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনের অপথ্যালমলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেলানি এ. শ্মিট জানিয়েছেন, স্ক্রিনের কারণে চোখ ক্লান্ত হলেও তা দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয় না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মায়োপিয়া (ক্ষীণদৃষ্টি) সমস্যা বেড়েছে, তবে এর প্রধান কারণ স্ক্রিন নাকি বংশগত কারণ, পর্যাপ্ত সময় বাইরে না কাটানো বা ঘুমের অভাব— সে বিষয়ে গবেষকরা এখনো নিশ্চিত নন।

স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় চোখের আশপাশের ছোট পেশিগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে, যা দীর্ঘক্ষণ চালিয়ে গেলে চোখের ক্লান্তি বাড়ে। তবে মায়ো ক্লিনিকের মতে, এ ধরনের ক্লান্তি দীর্ঘমেয়াদি কোনো ক্ষতি করে না।

তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এলইডি লাইট ইঁদুরের রেটিনার ক্ষতি করতে পারে। যেহেতু কম্পিউটার ও মোবাইল স্ক্রিনে এলইডি লাইট ব্যবহৃত হয়, তাই মানুষের ক্ষেত্রেও এমন প্রভাব পড়তে পারে কি না, তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

চোখের চাপ কমাতে ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে— প্রতি ২০ মিনিট পর স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকা। এ ছাড়া স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমানো, শুষ্কতা দূর করতে আই ড্রপ ব্যবহার করা এবং নিয়মিত প্রকৃতির দিকে চোখ রাখা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হতে পারে।

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন