তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অল্প সময়ের ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইউটিউব শর্টস দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সর্বোচ্চ তিন মিনিটের মধ্যে ভিডিও প্রকাশের সুযোগ থাকায় অনেকেই এই প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট তৈরি করে আয় করছেন। এবার শর্টস নির্মাতাদের কাজ আরও সহজ করতে ইউটিউব যুক্ত করতে যাচ্ছে নতুন একটি উন্নত এআই (Artificial Intelligence) মডেল।
গুগলের তৈরি ‘Veo 3’ নামের এই এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু লিখিত নির্দেশনাতেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে শর্টস ভিডিও তৈরি করা যাবে। ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী নীল মোহনের ভাষায়, চলতি বছরের মধ্যেই এই সুবিধা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউটিউব জানিয়েছে, এই নতুন এআই সুবিধা চালু হলে কনটেন্ট নির্মাতাদের আর আলাদা করে ভিডিও ধারণ বা স্ক্রিপ্ট লেখার ঝামেলা পোহাতে হবে না। শুধু টেক্সট প্রম্পট দিলেই তৈরি হয়ে যাবে একটি শর্টস ভিডিও। প্রযুক্তি ব্যবহারের দিক থেকে এটি ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুবিধা হলেও, কিছু দিক থেকে উদ্বেগও তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআইনির্ভর ভিডিওর উৎপাদন বাড়লে, মানুষের হাতে তৈরি কনটেন্টের গুরুত্ব কমে যেতে পারে। এতে কনটেন্ট নির্মাতাদের আয় ও পেশাগত অবস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এছাড়া, ভিডিও তৈরিতে এআই ব্যবহারে কিছু ঝুঁকিও থেকে যায়—যেমন ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া, গোপনীয়তা লঙ্ঘন কিংবা ডিপফেক ভিডিওর আশঙ্কা। বিশ্বব্যাপী এর আগেও এআই ব্যবহার করে তৈরি ভিডিওর কারণে কপিরাইট লঙ্ঘন ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্টের অভিযোগ উঠেছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মত, ইউটিউব যদি এই নতুন এআই সুবিধা চালু করে, তবে তা যেন সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় আনা হয়। না হলে, এই উদ্ভাবন যেমন সুযোগ তৈরি করবে, তেমনি তা ব্যবহারকারীদের জন্য চ্যালেঞ্জও হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.