ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার ১০টি কার্যকরী টিপস
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের প্রথম স্তরের সুরক্ষা। এমন একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা অনুমান করা কঠিন। পাসওয়ার্ডে বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্নের সংমিশ্রণ ব্যবহার করুন। সহজে অনুমানযোগ্য তথ্য, যেমন জন্মতারিখ, পাসওয়ার্ডে ব্যবহার করবেন না।
দুই স্তরের যাচাইকরণ চালু করলে আপনার পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি আরও একটি যাচাইকরণ কোড লাগবে যা আপনার ফোনে পাঠানো হয়। এটি আপনার অ্যাকাউন্টে অননুমোদিত প্রবেশ রোধ করবে, এমনকি যদি কেউ আপনার পাসওয়ার্ড পেয়ে যায়।
ফিশিং আক্রমণের মাধ্যমে হ্যাকাররা ইমেল বা মেসেজের মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার চেষ্টা করতে পারে। কোনো সন্দেহজনক ইমেল বা লিঙ্ক থেকে সাবধান থাকুন। ফেসবুক কখনো ইমেলের মাধ্যমে আপনার পাসওয়ার্ড চাইবে না।
আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন অ্যাক্টিভিটি নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। সেটিংস > সিকিউরিটি এবং লগইন > Where You’re Logged In এ গিয়ে আপনি দেখবেন আপনার অ্যাকাউন্ট কোন কোন ডিভাইসে লগইন করা আছে। যদি কোনো অজানা ডিভাইস বা অবস্থান দেখতে পান, তবে সঙ্গে সঙ্গে সেটি বন্ধ করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
ফেসবুক আপনাকে অপরিচিত ডিভাইস বা অবস্থান থেকে লগইন করার সময় সতর্কবার্তা পাঠায়। এটি আপনার অ্যাকাউন্টকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয়।
আপনার ফেসবুক পোস্ট, ছবি, এবং ব্যক্তিগত তথ্য কে দেখতে পাবে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে গোপনীয়তা সেটিংস ব্যবহার করুন। নিয়মিত এই সেটিংস পর্যালোচনা করে নিশ্চিত করুন যে শুধুমাত্র বিশ্বস্ত ব্যক্তিরাই আপনার তথ্য দেখতে পারবে।
অনেক তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন ফেসবুক অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস চাইতে পারে। কোনো অ্যাপ ব্যবহার করার আগে তার বৈধতা যাচাই করুন এবং অপ্রয়োজনীয় বা সন্দেহজনক অ্যাপ্লিকেশনগুলো অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে দিন।
যদি আপনি কোনো পাবলিক ডিভাইস থেকে ফেসবুকে লগইন করেন, তবে কাজ শেষে অবশ্যই লগ আউট করুন। অন্যথায়, অন্য কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারে।
আপনার ব্রাউজার, অপারেটিং সিস্টেম এবং ফেসবুক অ্যাপ নিয়মিত আপডেট করুন। আপডেটগুলিতে নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্যাচ থাকে, যা হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়, তবে ফেসবুক আপনাকে পুনরায় অ্যাক্সেস পেতে সহায়তা করার বিভিন্ন উপায় প্রদান করে। অ্যাকাউন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট ইমেল এবং ফোন নম্বর আপডেট রাখুন, যাতে পুনরুদ্ধার কোড পাওয়া যায়। এছাড়াও, ট্রাস্টেড কন্ট্যাক্টস যোগ করে রাখতে পারেন যারা আপনাকে অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারবে।
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখা আপনার দায়িত্ব। আপনি যদি এই পদক্ষেপগুলো মেনে চলেন তবে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে। সবসময় সচেতন থাকুন এবং আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আপডেটেড নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.