ফেসবুক আজ বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জন্য এক অতি পরিচিত এবং ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে এটি শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়; বরং অনলাইন ব্যবসা, কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম। তবে, অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন যে, তাদের ফেসবুক আইডি বা পেইজ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং এর সঠিক কারণ তারা বুঝতে পারেন না। কেন এমনটি ঘটে এবং এর সমাধান কীভাবে করা যায়, তা এখানে ব্যাখ্যা করা হলো।
ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা একটি সুস্পষ্ট কমিউনিটি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে, যা ছয়টি প্রধান ক্যাটাগরিতে বিভক্ত:
যদি কোনো ব্যবহারকারী সন্ত্রাসবাদ, ধর্মীয় বিদ্বেষ বা অশ্লীল কনটেন্ট শেয়ার করে, তবে ফেসবুক তার আইডি বা পেইজ হঠাৎ ডিজেবল করতে পারে।
ফেসবুকে কপিরাইট লঙ্ঘন একটি সাধারণ সমস্যা। রাইটস ম্যানেজার টুলের মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের ভিডিও বা অন্যান্য কনটেন্ট সুরক্ষিত করেন। তবে, অনেক সময় নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এই টুল ব্যবহার করতে না পারায় তাদের কনটেন্ট অন্য কেউ আপলোড করে এবং ফেসবুকের এআই সিস্টেম ভুলবশত মূল ক্রিয়েটরের আইডি বা পেইজ ডিজেবল করে দেয়।
ফেসবুকের গ্রাহক সেবায় মানুষের পরিবর্তে রোবটের ব্যবহার বাড়ছে। ফলস্বরূপ, রিপোর্টের ভিত্তিতে অনেক সময় যাচাই-বাছাই ছাড়াই পেইজ বা আইডি ডিজেবল হয়ে যায়।
ভেরিফাইড পেইজ বা আইডি সাধারণত বেশি নিরাপদ। তবে কোনো গাইডলাইন ভঙ্গ বা মেটার সিস্টেম ত্রুটির কারণে ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আপনার আইডি বা পেইজ ডিজেবল হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
সবশেষে, ফেসবুকের নীতিমালা মেনে চলা এবং কনটেন্ট আপলোডের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। এতে আপনার আইডি বা পেইজের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.