০২ জুন ২০২৫
১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরমে এসির সঠিক তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত

calendar_month ২৭ মে ২০২৫ ১৮:৩১:২৬ person অনলাইন ডেস্ক
গরমে এসির সঠিক তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত

দেশজুড়ে প্রচণ্ড গরমের দাপটের মাঝে এসির ব্যবহার বাড়ছে হু হু করে। তবে অনেকেই জানেন না, এসির সঠিক তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত। ভুল তাপমাত্রায় এসি চালালে বাড়তে পারে বিদ্যুৎ বিল, ব্যাহত হতে পারে ঘুম এবং প্রভাব ফেলতে পারে স্বাস্থ্যের উপরও। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স ও আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে এসির তাপমাত্রা নির্ধারণ করলেই পাওয়া যাবে আরাম ও সুরক্ষা—দুটোই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমের সময় ঘুমের জন্য এসির সঠিক তাপমাত্রা জানা অত্যন্ত জরুরি। ভুল তাপমাত্রা শুধু অস্বস্তি নয়, শ্বাসকষ্ট, ঠাণ্ডা-জ্বরসহ নানা শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে।

বয়সভেদে এসির তাপমাত্রা কেমন হওয়া উচিত?

বিশেষজ্ঞরা জানান, ১৫ বছরের নিচের শিশুদের জন্য এসির তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তারা আরামে ঘুমাতে পারে। কারণ শিশুরা অতিরিক্ত গরম ও ঠাণ্ডা দুই ধরনের আবহাওয়াতেই সহজে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এসির আদর্শ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় শরীর আরাম পায় এবং গভীর ও নিরবিচারে ঘুম হয়। তবে এসির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নিচে নামিয়ে ফেললে অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে সর্দি-কাশির সমস্যা হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।

বয়স্কদের জন্য এসির আদর্শ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে মত দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই বয়সের মানুষ তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা বেশি অনুভব করেন, এবং খুব কম তাপমাত্রা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

টাইমার ব্যবহার না করলেই বিপদ

রাতে এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে গেলে অনেকেই টাইমার সেট করেন না। ফলে ভোরের দিকে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় ঘুম ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ঠাণ্ডা লেগে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, রাতে এসি চালানোর সময় টাইমার ব্যবহার করা উচিত, যাতে নির্দিষ্ট সময় পর এসি বন্ধ হয়ে যায় এবং শরীর অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় আক্রান্ত না হয়।

বৃষ্টির সময় এসি ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। বৃষ্টির সময় বাইরে যেমন ঠাণ্ডা পড়ে, তেমনি বাতাসে বাড়ে আর্দ্রতা। এই সময় এসির তাপমাত্রা কমানোর প্রয়োজন নেই। বরং বিশেষজ্ঞরা ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এসি চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

এছাড়া ড্রাই মোড বা ডিহিউমিডিফিকেশন মোড চালু রাখলে ঘরের অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ হয়, ফলে ঘরে স্যাঁতসেঁতে ভাব কমে যায় এবং পরিবেশ হয় আরও আরামদায়ক।

পরিবেশবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, বৃষ্টির সময় জানালা-দরজা একেবারে বন্ধ না রেখে মাঝেমধ্যে খুলে দিলে ঘরে অক্সিজেন চলাচল ঠিক থাকে। চাইলে রুম ফ্রেশনার বা এয়ার পিউরিফায়ারও ব্যবহার করা যেতে পারে।

চলমান গরমের মাঝে এসি ব্যবহারে সচেতন না হলে তা হতে পারে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সঠিক তাপমাত্রা, টাইমার ব্যবহার এবং পরিবেশ বুঝে এসি চালালে মিলবে আরামদায়ক ঘুম এবং সুস্থ জীবন।

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন