১৭ এপ্রিল ২০২৫
৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে মেটার ফ্যাক্ট-চেকিং কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে, বদলে কী চালু হচ্ছে

calendar_month ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০২:২৩ person অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে মেটার ফ্যাক্ট-চেকিং কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে, বদলে কী চালু হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা আজ সোমবার থেকে তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেটার নতুন গ্লোবাল পলিসি প্রধান জোয়েল ক্যাপলান। গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি জানিয়েছেন, "আজ বিকেলের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ফ্যাক্ট-চেকিং কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ হবে। নতুন কোনো ফ্যাক্ট-চেক আর হবে না, এবং কোনো ফ্যাক্ট-চেকারও থাকবে না।"

ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের জায়গায় মেটা চালু করছে নতুন একটি ব্যবস্থা—‘কমিউনিটি নোটস’। এটি ধাপে ধাপে চালু হবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস প্ল্যাটফর্মে। এই ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীরা তথ্য সংশোধনের জন্য পোস্টে মন্তব্য বা নোট যোগ করতে পারবেন। তবে এসব নোটের কারণে কোনো পোস্টের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফ্যাক্ট-চেকিং বন্ধ করে কমিউনিটি নোটস চালু করা হবে। তার ভাষায়, “ফ্যাক্ট-চেকিং প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগে আস্থাহীন হয়ে পড়েছে। এটি মানুষের বিশ্বাস গড়ার বদলে বরং ক্ষতি করেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই আমরা এই পরিবর্তন এনেছি।”

তবে ডিজিটাল নীতি বিশ্লেষক ও অধিকারকর্মীদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভুয়া তথ্য, বিভ্রান্তিমূলক প্রচার এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য আরও সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কমিউনিটি নোটস ব্যবস্থায় অংশ নিতে হলে ব্যবহারকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে, অ্যাকাউন্টটি হতে হবে অন্তত ছয় মাস পুরোনো এবং ‘ভালো অবস্থানে’ থাকতে হবে। তবে একটি বড় সমালোচনা রয়েছে—এই কমিউনিটি নোটস সিস্টেম প্রযোজ্য হবে না অর্থপ্রদত্ত বিজ্ঞাপন বা স্পন্সরড কনটেন্টের ক্ষেত্রে। ফলে কেউ চাইলে টাকা খরচ করে বিভ্রান্তিকর বা উসকানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারবেন, যা নিয়ে ইতোমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধু ফ্যাক্ট-চেকিংই নয়, সম্প্রতি মেটা তাদের বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তির (Diversity, Equity & Inclusion) কর্মসূচিও বন্ধ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা ঘৃণামূলক বক্তব্য নিয়ন্ত্রণের নীতিমালাও কিছুটা শিথিল করেছে।

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন