০২ জুন ২০২৫
১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠিত স্পেসএক্স পরিচালিত স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে এই সেবার আওতায় দেশের যেকোনো স্থানে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাবে, বিশেষত যেখানে প্রচলিত ব্রডব্যান্ড বা ফাইবার অপটিক সংযোগ এখনো পৌঁছায়নি।
বাংলাদেশি গ্রাহকরা স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট starlink.com এ গিয়ে সরাসরি সংযোগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অর্ডার করতে হলে প্রথমে নিজের ঠিকানা দিয়ে জানতে হবে সেখানে এই সেবা উপলব্ধ কিনা। এরপর একটি সার্ভিস প্ল্যান বেছে নিয়ে হার্ডওয়্যার কিট কেনার মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।
স্টারলিংক সংযোগের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড কিট সরবরাহ করা হয়, যেখানে থাকে একটি স্যাটেলাইট ডিশ, ওয়াই-ফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড ও প্রয়োজনীয় ক্যাবল। ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সহজে এটি সেটআপ করতে পারবেন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, স্যাটেলাইট ডিশটি যেন খোলা আকাশের নিচে স্থাপন করা হয়।
স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে শুরুতে তিনটি মূল প্যাকেজ চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্যও রয়েছে আলাদা ব্যবসায়িক প্যাকেজ।
হার্ডওয়্যার কিটের এককালীন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭,০০০ টাকা।
প্রথমবার স্টারলিংক সংযোগ নেওয়ার পর, ৩০ দিনের মধ্যে সেবা সন্তোষজনক না হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরতের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। স্টারলিংক ইতোমধ্যে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং ধীরে ধীরে বৈশ্বিক ইন্টারনেট কাভারেজের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.