গুগলের ভূমিকম্প সতর্কবার্তা কতটা নির্ভরযোগ্য?

ভূমিকম্পের সময় স্থানীয় অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে গুগল ২০২০ সালে চালু করে ‘অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম’। এটি প্রথম চালু হয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়, তবে বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশেও এ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। মূলত ভূপৃষ্ঠের কম্পন বিশ্লেষণ করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠায় এই সিস্টেম। এটি ভূমিকম্পের উৎস ও মাত্রা সম্পর্কে জানানো ছাড়াও নিরাপদ থাকার পরামর্শ দেয়।

তবে গত শুক্রবার রাতে ব্রাজিলে কোনো ভূমিকম্প না ঘটলেও, সাও পাওলো ও রিও ডি জেনেইরো শহরের ব্যবহারকারীরা ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পান। এই বিভ্রান্তিকর সতর্কবার্তার ফলে গুগলের সেবাটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ভুল সতর্কবার্তার পর গুগল ব্রাজিলে সাময়িকভাবে অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেমের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ২টার দিকে বহু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর ফোনে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা আসে, যেখানে বলা হয় উবাতুবা ও বাইশাদা সান্তিস্তা অঞ্চলে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। তবে দেশটির ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেনি।

গুগলের মুখপাত্র এড ফার্নান্দেজ জানান, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের সিস্টেম সাও পাওলোর উপকূলীয় অঞ্চলের কিছু যন্ত্র থেকে সংকেত শনাক্ত করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সতর্কবার্তা পাঠায়। বিষয়টি জানার পরপরই আমরা ব্রাজিলে এ সেবার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে তদন্ত শুরু করি। এতে ব্যবহারকারীদের যে অসুবিধা হয়েছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ভুল না হয়, সে জন্য আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

গুগলের তথ্য অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম একটি স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি, যা স্মার্টফোনের সেন্সরের মাধ্যমে ভূমিকম্প শনাক্ত করে দ্রুত সতর্কবার্তা পাঠায়। তবে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক সরকারি সতর্কবার্তার বিকল্প নয়।