একুশে পদক গ্রহণ করলেন অভ্র’র ৪ নির্মাতা

আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে অভ্র কিবোর্ডের চার নির্মাতা—মেহদী হাসান খান, মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম, শাবাব মুস্তাফা এবং রিফাত নবী—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দলগতভাবে একুশে পদক গ্রহণ করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাদের হাতে এই পদক তুলে দেন।

অভ্র কিবোর্ড, যা ২০০৩ সালে চালু হয়, বাংলা টাইপিংয়ে বিপ্লব ঘটায়। ধ্বনিগত টাইপিং পদ্ধতির মাধ্যমে এটি ব্যবহারকারীদের জটিল কী-বোর্ড লেআউট ছাড়াই বাংলা লেখার সুযোগ দেয়, যা দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। প্রথমে মেহদী হাসান খানকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হলেও, তার অনুরোধে অভ্র তৈরিতে সহায়তাকারী বাকি তিনজনকেও পুরস্কৃত করা হয়।

এ বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলকে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে। পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও ৪ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে। এ বছর যারা একুশে পদক পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন: চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সংগীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন, চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা, সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহদী হাসান খান (দলনেতা), রিফাত নবী, মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম ও শাবাব মুস্তাফা, সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) (মরণোত্তর), সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।